রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, দুপুর ১০:১০ সময়
অনলাইন সংস্করণ
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ৫:৫১ বিকাল
চলতি মাসের ২৪ দিনে প্রবাসীরা প্রায় সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এতে করে একক মাসের প্রবাসী আয়ের আগের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মার্চ মাসের ২৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা ২৭৫ কোটি ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা) সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলারের রেকর্ড ছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২৪ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বাকি ৭ দিন সমপরিমাণ অর্থ এলে চলতি মাসে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে। ফলে মাসের হিসাবে অনেক বড় ব্যবধানে রেকর্ড হতে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ১২৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৬২ কোটি ডলার। এ পর্যন্ত রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪৬১ কোটি ডলার, যা ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ছাড়া সব মাসেই বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানান, অর্থ পাচার প্রতিরোধে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আবার ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠিয়ে প্রণোদনাসহ এখন যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে, তা খোলাবাজারের চেয়েও বেশি। সাধারণভাবে হুন্ডি চাহিদা কমলে এমন হয়। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। ফলে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। রিজার্ভও স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে, ৯ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের দায় বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে নামে। পরিশোধের আগে রিজার্ভ উঠেছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আগস্টে রিজার্ভ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। গত জুলাই শেষে তা কমে ২০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারে নামে। এর বড় কারণ ছিল, আমদানি দায় পরিশোধের জন্য রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ডলার বিক্রি করছে না।